চট্টগ্রামের রেলস্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আট মোবাইল ফোন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ২০২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ।
চট্টগ্রামের পুরাতন স্টেশনের যে জায়গাটিতে অভিযান চালিয়ে মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তা চোরাই মার্কেট হিসেবে পরিচিত।
নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নোবেল চাকমা বলেন, ‘পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার বাগদাদ হোটেলের গলিতে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে এই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। পরে ছিনতাইকারী চক্রের আট সদস্যকে ছোরাসহ আটক করা হয়। জব্দ করা হয় দুইশ’ দুটি মোবাইল ফোন।’
গতকাল বুধবার বিকেলে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চোরাই মোবাইল বিক্রির বেশ কয়েকটি দোকান গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে শাহ আলম ও ফজলুল করিম নামে দু’জনকে আটক করা হয়।
এ সময় ফজলুল করিমের হাতে থাকা বাজারের ব্যাগ থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ৭২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এই দুইজন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মোবাইল ফোনগুলো বিভিন্ন ছিনতাইকারী ও অপরাধীচক্রের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও ছয়জনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় বাকি মোবাইল ফোনগুলো।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, থানায় যেসব অভিযোগ আসে তাদের বেশিরভাগই মোবাইল ফোন সংক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, চক্রটির সদস্যরা দুইভাবে ছিনতাই করে। একটি চক্র বাসে ওঠার সময় বা নামার সময় ব্যাগ বা পকেট থেকে মোবাইল হাতিয়ে নেয়। আরেকটি গ্রুপ ছুরির ভয় দেখিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে। সেগুলো এনে চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় বিক্রি করে।
ওসি বলেন, মোবাইল ফোন ছিনতাই ও বেচা-বিক্রি দলের ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
এ ঘটনায় ৪১৩ ধারায় ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা করা হয়েছে। আটককৃতদের রিমান্ডে এনে বিস্তারিত জানা হবে বলে জানান তিনি।
আনন্দবাজার/শাহী/মতিন