প্রায় ১৫ বছর আগে ৩ মেয়ে ও এক প্রতিবন্ধী ছেলে রেখে মারা যায় স্বামী উমর আলী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ভিটেমাটি ও সম্বলহীন পরিবারটি গ্রামে গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন রকমে ছোট একটি টিনশেট ঘরে ৫ সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিলো ফজিলা খাতুনের পরিবারটি। সামাজিক ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটি থাকার ঘর পাননি তিনি। অবশেষে স্মরণাপন্ন হলেন ত্রিশালের সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন।
ওয়েল ফোয়ারের সমন্বয়ক মিনহাজ বলেন, ফাউন্ডেশনের সদস্য বিরাজকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ফজিলা খাতুনের খবরাখবর নেওয়ার জন্য। যাচাই বাছায়ে প্রাপ্যতা অনুযায়ী অগ্রাধীকার ভিত্তিতে দ্রুত একটি বসতঘর ফজিলা খাতুনকে করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন। দ্রুত গতিতে ঘর নির্মানের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় গত মঙ্গলবার।
বৃহস্পতিবার ফজিলা খাতুনের বাড়ী গিয়ে নব নির্মিত ঘরের চাবী ফজিলা খাতুন ও তার প্রতিবন্ধি ছেলের হাতে তোলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান। ঘর পেয়ে খুশি হয়েছেন ফজিলা খাতুন ও তার প্রতিবন্ধি ছেলে।
এসময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের মিনহাজ উদ্দিন, ডা. মনোয়ার, তপন সাহা, বিরাজ, শরীফ, রোকন, তারেক, মিল্টন, উজ্জল, মানিক আচার্য্য, গৌতম দে, শোশারফ হোসেন, সানোয়ার, সুজন, জসিম উদ্দিন, রঞ্জন সরকার, সাংবাদিক জোবায়ের হোসাইন, সিফাত আকন্দ প্রমূখ।
ফজিলা খাতুন জানান, অনেক দিন যাবত ঘরের জন্য অনেক কষ্ট করে রাত যাপন করে আসছিলাম, আজ থেকে আমাদের এ কষ্টটা শেষ হলো। খাবারের সন্ধানে ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন প্রকার জীবন যাপন করছি, সেখানে একটি থাকার করা ছিল স্বপ্নেরমত। তিনি রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সকলের জন্য দোয়া করেন।
রকিব ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের পরিচালক মিনহাজ জানান, আমাদের ফাউন্ডেশনের অসহায় দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের এটি ৪ নম্বর প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রত্যেক সদস্যই অনেক অবদান রেখেছেন। আগামীতে আমরা সমাজিক কর্মকান্ডে আরো এগিয়ে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল কাজ, এসকল কাজে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত। সরকারের পাশিাপাশি সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে সমাজের অনেক উপকার হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/বুল্বুল