চলতি বছর সরকার করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ইনডোরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে এ অনুষ্ঠা্নের আয়োজন করা যাবে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা নিয়ে এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের সভাপতি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেওয়া জাতীয় কমসূচি সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অলোচনা করা হয়।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে অনুষ্ঠান করতে হবে। সেই সাথে অনুষ্ঠানে যাতে নাশকতা করতে না পারে সে জন্য সারা দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিজয় দিবসে সকল সরকারি আধা সরকারি, স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের আদেশ অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা উপজেলা ৩১ বার তোপধনীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নানা স্থাপনায় আলোক সজ্জা করা যাবে। সেই সাথে অনুষ্ঠান সমূহ সফল করার জন্য ইউটিলিটি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ইউটিলিটি প্রদান করবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ যাওয়া আসায় এবং পুস্পস্তবক অর্পণের সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় পযাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সকল নিরাপত্তা আয়োজন থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার পযন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ রাস্তা ঘাট সম্পন্ন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
বিজয় দিবসে সারা দেশে মসজিদ মন্দির গিজাসহ ধমীয় উপসানালয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত ও জাতির শান্তি সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
এছাড়া বিজয় দিবসে কারাগার, বিভিন্ন হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম এবং এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে মেডিক্যাল টিম ফায়ার সার্ভিসের সেবা থাকবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সীমান্তে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান বন্ধে নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ এইচ এস কে