ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় শীতের শুরুতে ব্যস্ত পিঠা বিক্রেতারা

কুমিল্লায় শীতের শুরুতে চলছে পিঠা বিক্রি। গ্রাম বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা-পায়েস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিবছরই শীতকালে দেশজুড়ে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় নানা রকমের পিঠা বানানোর। বিষেস করে গ্রামে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত থাকে।

অপরদিকে, গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সু-বাতাস। শীতে বিভিন্ন বাজারে ও রাস্তায় রাস্তায় পিঠা বানিয়ে বিক্রি করে সংসার চালায় অনেকেই। এই শীতেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলাতে। কুুুুমিল্লার রেল গেইট ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট কোম্পানিগঞ্জ সহ কিছু জায়গায় মৌসুমী পিঠা ব্যবসায়ীরা বসেছে পিঠা বিক্রিতে৷ তাছাড়া গ্রামের বাজারে ও মোরে ও রয়েছে পিঠা বিক্রেতা।

তাছাড়া অনেক উপজেলায় চোখে পড়ে এসব মৌসুমী শীতের পিঠা বিক্রেতাদের৷ পুরো শীত জুড়ে চলে তাদের এই পিঠার ব্যবসা। অনেক ধরণের পিঠার প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশে। কালের গভীরে কিছু হারিয়ে গেলেও রাস্তার পাশের পিঠার এই দোকান গুলোতে কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। একেক ধরণের পিঠার দাম একেক রকম।

তবে চিতই পিঠা বিক্রি হয় হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে। শুটকি, মরিচের, ধনে পাতার,সরিষার ভর্তা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই পিঠা। গ্রামাঞ্চলে শীতের পিঠা তৈরিকে যেমন উত্‍সব হিসেবে গণ্য করা হয় সে তুলনায় শহরে খুব কমই চোখে পড়ে পিঠা-পুলির বাহার। তবে ইদানীং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত শীতের পিঠা উত্‍সব সাড়া ফেলে দেয় শহুরে জীবন। এছাড়া শহরের পথে-ঘাটে বা ফুটপাতে পিঠা কেনাবেচা হয় পুরো শীতকাল জুড়েই।

প্রায় প্রতিটি রাস্তার পাশেই চোখে পড়ে অস্থায়ী পিঠার দোকান। বেশির ভাগ শীতকালেই এ সব দোকান বসে থাকে।আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শীত মৌসুমে এই সব দোকান বসে। বাইড়া বাজারের পিঠা ব্যাবসায়ী আঃ লতিফ বলেন, এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে অন্য বছরের মতো চলে না। তবে চালের দাম কম থাকলে পিঠা বিক্রি করে আরো লাভবান হইতাম।

আনন্দবাজার/শাহী/বাশার

সংবাদটি শেয়ার করুন