ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘোড়াগাড়িই যেখানে একমাত্র যান!

চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের পর পদ্মার পানি কমে এক বিশাল চর উঠেছে। বর্তমানে ২ প্রান্তেই ঘাট সমস্যার কারণে গেল প্রায় দুই মাস ধরে ওই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় নতুন ঘাট পর্যন্ত ধু ধু বালুচরের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র উপায় হয়ে উঠেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াগাড়ি।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম রাজবাড়ীর জৌকুড়া ফেরিঘাট। সেখানে গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

বর্তমানে পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোনো বিকল্প না থাকায় যাত্রীরা ঘোড়াগাড়িতে করেই ঘাট পর্যন্ত আসা-যাওয়া করেন। প্রতিদিন ১০-১২টি ঘোড়াগাড়ি যাত্রী পারাপার করে। সময় বিশেষে ভাড়া নেওয়া হয় ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

জানা গেছে, রাজবাড়ীর জৌকুড়ায় যেখানে ফেরিঘাট ছিল, নদী শুকিয়ে তার থেকে অনেক দূরে চলে যাওয়ায় প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে নতুন করে ঘাট নির্মাণের কাজ চলছে। ফেরি না চললেও সেখানকার খেয়াঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকায় ওই রুটের যাত্রীরা নদী পার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জৌকুড়া ফেরিঘাটের ঘোড়াগাড়িচালক আবদুল খালেক জানান, আমরা বর্তমানে ঘোড়াগাড়িতে করে খেয়াঘাট পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেওয়া করছি। এতে আমাদের পাশাপাশি যাত্রীরাও অনেক লাভবান হচ্ছেন। কারণ এই বালুচরের ওপর দিয়ে অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারে না। একমাত্র উপায় হেঁটে চলাচল করা, যা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

রুমানা নামে এক যাত্রী জানান, আমাকে মাঝেমধ্যেই এই রুট দিয়ে চলাচল করতে হয়। এই ঘোড়াগাড়ি থাকাতে উপকারই হয়েছে। পায়ে হেঁটে যাওয়া-আসার কষ্টটা পেতে হচ্ছে না, আবার ঘোড়াগাড়িতে চড়লে আনন্দও লাগছে।

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (চ.দা.) কেবিএম সাদ্দাম হোসেন জানান, গেল ২/৩ বছর ধরে পদ্মায় ভয়াবহ নাব্যতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর পানি কমে বিশাল অংশজুড়ে চর উঠেছে। সে জন্য আড়াই কিলোমিটারের মতো ঘাট সরিয়ে নিয়ে ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ চলছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন