ঢাকা | সোমবার
১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে পরিত্যাক্ত স্থানে প্রায়ই মিলছে নবজাতক

রাজধানীতে-পরিত্যাক্ত-স্থানে-প্রায়ই-মিলছে-নবজাতক

রাজধানীতে পরিত্যাক্ত স্থানে প্রায়ই মিলছে নবজাতক। রাস্তাঘাট, ঝোপঝাড় এমনকি ডাস্টবিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় মাঝে মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে নবজাতক। কিন্তু কোন সূত্র না থাকায় একটি ঘটনারও সমাধান করতে পারেনি পুলিশ করা যায়নি। তবে তারা বলছে, জাতীয়ভাবে ডিএনএ ব্যাংক করা গেলে সহজেই পরিচয় জানা যাবে নবজাতকের।

সমাজবিজ্ঞানী ও আইনজীবীরা বলেন, যে সংস্থাগুলো শিশুদের লালনপালন করে, কথিত বাবা-মার উচিত নবজাতক শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে সরাসরি সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করা।

কিছুদিন আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল সড়কে কে বা কারা কাপড়ের ব্যাগের ভেতর রেখে যায় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। সেদিন ওই সড়কে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সমরেশ মণ্ডল।

তিনি জানান, আমি যখন দেখছি ব্যাগের ভেতরে তখন আমার পুরা শরীর একটা ঝাঁকি দিয়ে উঠেছে। ভাল-মন্দ বিচার করার আর চিন্তা হয়নি। তখন আমার একটাই চিন্তা হচ্ছিল বাচ্চাটা অনেকক্ষণ না খেয়ে আছে, হাসপাতাল নিতে হবে আগে তারপর বাঁচাইতে হবে।

একইভাবে শাহবাগ ফুটপাতে বাস কাউন্টারের বক্সের ভেতর থেকে পাওয়া যায় নবজাতক। ঢাকা মেডিকেলে ক’মাস আগে কুকুরের মুখে দেখা যায় আরও একটি নবজাতক। পড়ে তার কান্নার আওয়াজে ছুটে আসেন ক্যান্টিনের কর্মচারিরা।

এভাবে গেল অক্টোবরেই রাজধানীতেই উদ্ধার করা হয় ৪ নবজাতক। তবে এরমধ্যে দুটি জীবিত এবং দুটি ছিলো মৃত।

গোয়েন্দা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যদি দেশের সব নাগরিকের ডিএনএ ব্যাংক তৈরী করা সম্ভব হয় তবে ফেলে যাওয়া শিশুটি কার তা সহজেই জানা সম্ভব হবে।

নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা আইনজীবী জানান, কথিত এসব বাবা-মা রাস্তায় ফেলে না দিয়ে শিশুটিকে সঠিক উপায়ে দত্তকও দিতে পারেন। এতে শিশুটি যেমন বেঁচে গিয়ে সুন্দর একটি জীবন পাবে, তেমনি নিঃসন্তান দম্পতির কোলও ভরে যাবে।

উল্লেখ্য, সাধারণত অনৈতিক সম্পর্কের ফসল এসব শিশু। কিন্তু উচ্চবিত্তের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের উদাহরণ থাকলেও নিম্নবিত্ত এবং ভবঘুরে মানুষদের সেই সতর্কতা নেই। কিন্তু বাস্তব হলেও সত্যি যে এসব নবজাতকের কোনো দোষ নেই। জন্মই যেন তার একমাত্র দোষ। আর জন্মের পরই চলে শিশুর মৃত্যুর আয়োজন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন