যানবাহন চলাচলের জন্য ২০২১ সালের জুন মাসে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে পায়রা সেতু। এরইমধ্যে সেতুটির ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থা চালু হবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে পায়রা নদীর ওপর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে বরিশাল-পটুয়াখালী পায়রা নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুটি নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন। এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৭৬ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা থাকবে।
তাই নদীর মধ্যখানে মাত্র ১টি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
পটুয়াখালী-বরিশাল চলাচলকারী তুসার পরিবহনের চালক মো. সেলিম মিয়া জানান, পায়রা সেতুটি চালু হলে আর কোনো ভোগান্তি থাকবে না সাধারণ জনগণের। দেশের নানা প্রান্ত থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পটুয়াখালী পৌঁছানো যাবে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে।
পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল খালেক জানান, আমরা মূল সেতুর কাজে অনেক এগিয়ে আছি। ইতোমধ্যে পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বর্ষা ও করোনার কারণে এতদিন আমরা পিছিয়ে ছিলাম। ইতোমধ্যে সেখান থেকে ২৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুর সার্বিক কাজ সম্পন্ন করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
তিনি আরও জানান, পায়রা সেতুর ডিজাইনে সাধারণত সেতু হয় না। বাংলাদেশে এই সেতুটি ২য় বারের মতো নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ধরনের সেতুর এক্সপার্ট খুবই কম দেশে। সেতুর ফাউন্ডেশন ও পানির গতিপথ পরিবর্তনের কারণেই কাজ বাস্তবায়নে বেশ বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া সেতুর ডিজাইনও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে