ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাম-পুলিশের অমানবিক জীবন

দীর্ঘ দিন গ্রামপুলিশের চাকুরী করা অবস্হায় অসুস্হ হয়ে পড়ায় বন্ধ হয় বেতন, চিকিৎসার খরচ যোগাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছে নগেন। তাঁকে সহযোগিতা করা দূরের কথা, তাঁর প্রতি যেন চালানো হচ্ছে অমানবিক নির্যাতন।

জানা গেছে, উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বিজুল ডাঙ্গা গ্রামের মৃত মধুরামের পুত্র শ্রী নগেন চন্দ্র দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের একজন গ্রাম পুলিশ। সে জানায় দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর যাবৎ চাকুরী করে আসছিল কিন্তুু আনুমানিক দুই বছর পূর্বে ষ্টোক করে অসুস্হ হয়ে পড়ে, এরপর তিনি চেয়ারম্যানের নিকট ছুটি চাইলেও ছুটি দেয়নি উপরন্ত বন্ধ রেখেছে তাঁর বেতন, এমন কি আমাকে বরখাস্ত করে চাকুরীচ্যুত করার পাঁয়তারা চলছে, যাতে করে টাকা অভাবে চিকিৎসা করে সুস্হ হতে না পারি। আমি যেন আর চাকুরীতেও যেতে না পারি। তাহলে আমার স্থানে অন্য কোন নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় সহজ হবে, আর তাই আমার উপর এমন নির্যাতন ।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন সে আমার কাছে ছুটি চায় নি, একথা বলেই পাশ কাটিয়ে যান তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমানে নগেন পরিবারজন নিয়ে অসহায় হয়ে দিনানিপাত যাপন করছে। তাঁর পাশে দাড়ানোর মত নেই কেউই।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানায় আমি বিষয়টি পুরোপুরি অবগত নয়, তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেক নেব।

ঘটনাটি যেন সমাজের মানুষের কাছে হ্নদয় বিদারক কেননা নগেন কি সামান্য গ্রামপুলিশ বলেই তাঁর এ অবস্থা এমনটিই প্রশ্ন আজ ভাসমান? তবে তাঁর সহকর্মী ও বিবেকবান মানুষেরা মনে করেন সকলকেই সু-দৃষ্টিরেখে অসহায় গ্রাম-পুলিশ নগেন কে অমানবিকতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে সঠিকভাবে মানবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে এমনটাই দাবী সকলের।

আনন্দবাজার/শাহী/কামরুজ্জামান

সংবাদটি শেয়ার করুন