রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কমবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নভেম্বরে নতুন দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আগামী সপ্তাহে মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান দেশে আসবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরের পীরগাছায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সব মিলিয়ে বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণের বেশি। যেমন মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪২ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এর আগে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৭২ টাকা কেজি দরে। বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মিসরের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি দরে, বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় আমদানিমূল্যের সঙ্গে বাজারমূল্যের ব্যবধানও বাড়ছে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিজ দেশীয় বাজার সামাল দিতেই এ পদক্ষেপ নেয় তারা। এরপরই বাংলাদেশসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ হয়ে যায় ১০০ টাকা। আবার কোথায় কোথায় ১২০টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে।

ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্যে দেখা যায়, এ সময়ে মিয়ানমার থেকে ১২ হাজার ৮৪৯ টন, ভারত থেকে ৮ হাজার ৫৬৮ টন (নিষেধাজ্ঞার আগে এসব পেঁয়াজের ঋণপত্র খোলা হয়েছিল), মিসর থেকে ৫৬২ টন এবং চীন থেকে ৫২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। সব মিলিয়ে এই ২০ দিনে পেঁয়াজের চাহিদা ছিল ৬২ হাজার টন। আমদানি হয়েছে ২২ হাজার টন।

আরও পড়ুনঃ  ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন