পাইকগাছার লতা ইউনিয়নের বদ্ধ পোদা নদীর ওপর সরকারি সুইস গেটটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। গেটের ইট গুলা ধসে পড়েছে। লোহার দুটি পাটও নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে জোয়ারের পানি অবাধে পোল্ডার অভ্যান্তরে ঢুকছে। জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত এলাকার রাস্তা-ঘাট এবং মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সুইস গেটটি দ্রুত সংষ্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৮/১৯ নং পোল্ডার লতা ইউনিয়নের গয়শার খাল হয়ে বদ্ধ পোদা নদীর ওপর ধলাই এলাকায় সরকারি একটি সুইস গেট রয়েছে। ধলাই, লতা, পুতলাখালী, আধার মানিক, কাজীর চক, শচিয়ার বন্দ, তেতুলতলা ও হালদার চক সহ ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের পানি নিষ্কাসন হয়ে থাকে অত্র গট দিয়ে। ষাটের দশকে নির্মিত গেটটি দীর্ঘদিন সংষ্কার না করার ফলে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। গেটের অধিকাংশ অবকাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে। লোহার দুটি পাতও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী বিকল্প দুটি পুরাতন পাট লাগিয়েছে। কিন্ত কোন ভাবেই পুরাতন পাটে পানি আটকানো যাচ্ছে না। যার ফলে জোয়ারের পানি অবাধে পোল্ডার অভ্যান্তরে প্রবেশ করছে।
খালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করায় উপচে পড়া পানিতে খালের দু’ধারের রাস্তা ও এলাকার মৎস্য ঘের প্রতিনিয়ত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইসহাক আলী সরদার জানান, ৫ বছরেরও বেশি সময় অত্র সুইস গেটটি জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন সংষ্কার না করার ফলে পানি প্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না। সবুর গাজী জানান, গেটের পাশেই আমরা বসবাস করি। এ জন্য জোয়ারের পানি প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়ী ঘর তলিয়ে যায়। মাহবুব গাজী জানান, খালের দু’ধারের রাস্তার বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে আমাদের চরম ভাগান্তি হয়। আফসার সরদার জানান, জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ইউনিয়ন পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সনজিত সরকার জানান, ধলায় সুইস গেট, বদ্ধ পোদা নদী এবং গয়েশার খাল অত্র এলাকার প্রাণ। এলাকার ১৮টি গ্রামের পানি নিষ্কাসন হয়ে থাকে অত্র সুইস গেট দিয়ে। গেটটি দীর্ঘদিন সংষ্কার না করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমাদের প্রাণের দাবী জনগুরুত্বপূর্ণ গেটটি দ্রুত সংষ্কার করা হোক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন জানান, গেটের লোহার পাত দুটি পরিবর্তন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মূলত পাউবো’র যান্ত্রিক বিভাগ পাত সাপ্লাই করে থাকে। এ সংক্রান্ত ফান্ড বরাদ্দ না হওয়ায় পাত পরিবর্তনের বিষয়টি আটকে রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সংক্রান্ত চাহিদা দিলে তা প্রস্তাব আকারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে বলে গেট সংষ্কার সংক্রান্ত প্রসঙ্গে পাউবো’র এ কর্মকর্তা জানান।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ