বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ের পাদদেশে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতি। কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় এখানকার ৯০% লোক সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত।
বাকাকুড়া, গুরুচরণ দুধনই, জোকাকুরা এবং তাওয়াকুচা হলো কাংশা ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। গ্রামের লোকজন সারাদিন কর্মব্যস্ত থেকে শান্তিতে যখন একটু রাতে ঘুমাতে যাবে ঠিক তখনই শুরু হয় বন্য হাতির আক্রমণ। এই কর্মজীবী লোকগুলো যে একটু শান্তিতে ঘুমাবে সেটা আর পারেনা, তারা সারা রাত জেগে হাতির তান্ডব থেকে তাদের ঘড়বাড়ি, ফসলাদি রক্ষা করার জন্য মশাল, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, উচ্চ শব্দ করে হাতিকে তারানোর ব্যবস্থা করে। তাদের জীবনের শেষ সম্বলটুকু ফসলকে রক্ষা করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠে।
দেখা গেছে, এই ফসলকে রক্ষা করার জন্য অনেক লোককে হাতির কাছে পরাজিত হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০/৪৫ জন লোক হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
জানা গেছে, এসব হাতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসে। যদিও সরকার এসব হাতির তান্ডব থেকে রক্ষার জন্য ‘সোলার ফেন্সিং’ এর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ মেরারমতের অভাবে এসব সোলার ফেন্সিং ঠিকমতো কাজ করছেন। তাছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যখন হাতি আসে তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, এতে করে গ্রামবাসীরা যে আলো জ্বালিয়ে হাতির গতিবিধি লক্ষ্য করবে সেটা আর পারেনা।
এমতাবস্থায় গ্রামবাসীরা প্রতিনিয়তই এই হাতি নামক দূর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। গ্রামবাসীরা এর স্থায়ী একটি সমাধান চায়।
আনন্দবাজার/শাহী/মনির