ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় নারী উদ্যোক্তা ‘রূপকথা’র ইল্লিন

মহামারি করোনায় থমকে গেছে বিশ্ব। সেই সাথে থমকে গিয়েছে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থাও। গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনার এই সময়ে অলস সময় পার করতে হচ্ছে লাখো শিক্ষার্থীকে। কিন্তু মহামারি এই পরিস্থিতিতেও থেমে থাকেননি যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হোমায়রা তাবাসসুম ইল্লিন।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বেশ কম। এর বড় কারণ সামাজিক ও পারিবারিক দিক থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতা। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অবস্থায় এখনো নারী উদ্যোক্তাবান্ধব হয়ে ওঠেনি। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অনেক নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। এমন নারীদের মধ্যে ইল্লিন একজন। আজ তার উদ্যোক্তার হওয়ার গল্প আমরা জানবো।

ইল্লিন বলেন, স্কুল জীবন থেকেই বিভিন্ন ধরণের ক্রাফটিং পারতাম আমি। আর্ট বা ক্রাফটিং বিষয়ক শিক্ষাটি আমি পেয়েছি আমার স্কুলের চারুকলা শিক্ষিকা তাসনুভা রহমান মিতুর কাছ থেকে। আগে থেকেই আমি শখের বসে গয়না বানাতাম তবে সেটা শুধু নিজের জন্যে। এই করোনা মহামারিতে বাসায় বসে যখন সময় কাটছিল না তখন মনে হলো বাসায় বসে কিছু করাই যায়।সেই থেকেই পথচলা শুরু’রূপকথা’ফেসবুক পেইজের।

তিনি আরও বলেন, আমি মূলত কাঠের ও মেটালের গহনা বানাই। কাঠের উপর নানা রকমের পেইন্ট করে এইসব গহনা বানাই। খুব অল্প সময়ে ‘রূপকথা’ অনেক গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গেছে। আমার এই পথচলায় আমার সঙ্গী হিসেবে আছে আমার মেডিকেলের জুনিয়র দীপান্বিতা কর্মকার। বর্তমানে আমরা দুইজন মিলে কাজ করছি। শুরু থেকে আমি আমার পরিবার থেকে সব রকমের সাহায্য পেয়েছি। এইটা আমার জন্যে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। দক্ষতার সঙ্গে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে সন্তুষ্টি অর্জনের। গ্রাহকদের কাছে তাদের পছন্দের হাতে তৈরি করা গহনা পৌঁছে দিতে পেরে আমরাও দারুণ খুশি।

আনন্দবাজার/শাহী/সুমন

সংবাদটি শেয়ার করুন