করোনার সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর উন্মুক্ত করে দিলো রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর। তবে অনলাইনে টিকিট কাটার বাধ্যবাধকতা থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ডাটা না থাকায় অনলাইনে টিকিট কাটতে পারছেন না অনেক দর্শনার্থীই। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে জাদুঘর দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আর এ সুযোগে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। জাদুঘরে টিকিটের মূল্য ২০ টাকা হলেও জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি নিয়ে নিজেদের মুঠোফোন থেকে অনলাইনে টিকিট কিনে দিচ্ছে চক্রটির সদস্যরা। অনেকে দর্শনার্থীই নিরুপায় হয়ে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশদ্বারের বাইরে উপচে পড়া মানুষের ভিড়। লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মিলছে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার পর ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
যাত্রাবাড়ি এলাকার তিন তরুণ জানান, তাদের কাছে স্মার্টফোন নেই। প্রবেশদ্বারের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি জনপ্রতি ৩০ টাকার বিনিময়ে টিকিট কিনে দিতে পারবেন বলে জানান। পরে অবশ্য মোটের ওপর আরও ১০ টাকা বেশি অর্থাৎ ১০০ টাকা দিতে হয় ওই ব্যক্তিকে।
ওয়ারির বাসিন্দা পোশাক শ্রমিক হাসান সপরিবারে (স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে) জাদুঘর ঘুরে দেখার আশা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু অনলাইনে টিকেট কাটতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে শুনে তিনি বাড়ির পথ ধরেন।
তিনি বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আমরা কোথায় স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট পাব? আমাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। সূত্র: জাগো নিউজ
আনন্দবাজার/ইউএসএস