টিয়া, ঘুঘু ও মুনিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৭১০টি পাখি জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ (৬ নভেম্বর) শুক্রবার সাভারের আশুলিয়া থেকে এসব বন্যপাখি উদ্ধারের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে অবমুক্ত করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ও বিক্রির দায়ে চার জনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, পাখিগুলো দেশের বিভিন্ন উপকূল ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিকার করা হয়েছে। এ অপরাধে চাঁন মিয়া, রহমত শেখ, উসমান গণি ও রফিকুল ইসলাম নামের চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিছু অবৈধ সংঘবদ্ধ চক্র দেশের বিভিন্ন উপকূল ও বগুড়া থেকে পাখি শিকার করে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসা করছে।
প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন র্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বলেন, কেউ প্রকৃতি বা জীববৈচিত্র্য নষ্ট করলে আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাবের সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত আছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস