ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হলুদ চাষে কৃষকের সফলতা বেশি

মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষ করে বেশি লাভবান ও সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে ইতোমধ্যে চলতি বছর কয়েক দফায় বন্যা ও বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পরেও অন্যন্য ফসলসহ মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষ করে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে হলুদ চাষিদের। এতে স্বল্প খরচে লাভ করা যায় বেশি।

ফলে হলুদ চাষে ঝুঁকছেন কুড়িগ্রামের সব কৃষকরা। জেলার ৯টি উপজেলার চরাঞ্চলসহ নানা এলাকায় গেল বছরের তুলনায় চলতি বছর ব্যাপক পরিমাণ হলুদের চাষ করতে দেখা গেছে। পরিত্যক্ত জমি ও বাড়ির পাশে অন্য ফসলের পাশাপাশি অনেক কৃষক জমিতে হলুদ চাষ করছেন।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যে সকল জমিতে রোদ পড়ে না, পরিত্যক্ত থাকে, গাছপালা আছে কিংবা অন্য কোন আবাদ ভালো হয় না। এই জমিগুলোতে হলুদ চাষ করা হয়ে থাকে। তবে হলুদ পরিচর্যা ঠিক মতো না করলেও এর চাষ ভালো হয়।

জানা গেছে, জমিতে হলুদ বপন করার পর প্রায় ১ বছরের মতো সময় লাগে পরিপক্ক হতে। এক বিঘা জমিতে ৩ মন হলুদ চাষ করলে সবমিলে ব্যয় হয় ৮-১০ হাজার টাকা, আর হলুদ পাওয়া যায় ৫০ মণ পর্যন্ত। বাজার ভালো মূল্য থাকলে ৮ শ-১০০০ টাকা মণ বিক্রি করা যায়। বাংলার ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাসে হলুদের বীজ বপন করা হয়।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর জেলার ৯টি উপজেলায় আনুমানিক ২৫০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে।

ওই ইউনিয়নের কৃষক শ্রী কমল জানান, হলুদ চাষে একটু সময় বেশি লাগে তাছাড়াও খরচও অনেক কম। আমাদের জমিতে অনেক গাছপালা থাকায় অন্য কোন ফসল ভালো হয় না। কিন্তু হলুদটা ভালোই হয়। কৃষি বিভাগ থেকে যদি আরও পরামর্শ দেওয়া হতো তাহলে আরও বড় পরিসরে চাষ করতাম আমরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, যেহেতু হলুদ একটি মসলা জাতীয় ফসল, হলুদের বিভিন্ন গুনাগুন আছে আমরা সবাই জানি। হলুদের মূল্য অনেক বেশি, তবে এখান কার কৃষকরা হলুদ চাষ করতে আগ্রহী কম।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন