ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবন্ধীদের ইস্যূতে রাষ্ট্র এত অমানবিক কেনো?

নারী, পুরুষ ও পোষ্য কোটা থাকলেও প্রাথমিকের নিয়োগে রাখা হয়নি প্রতিবন্ধী কোটা। হ্যাঁ, অমানবিক ও অসাংবিধানিক কাজটিই করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে প্রকাশিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে এমন বৈষম্য করা হয়েছে।

এর প্রতিকার চেয়ে ইতিমধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ঐক্য পরিষদ’ নামের সংগঠন। আজ রবিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে মানবন্ধন করে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, আমরা এমনিতেই স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। নানা অবহেলা বঞ্ছনা ও গঞ্জনার পরও জীবন যুদ্ধে টিকে আছি। পড়াশোনা করেছি। আমরা এখন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার জন্য কর্মসংস্থানের অধিকার চাই। আমাদের এই অধিকারটুকুও দেবেন না? প্রতিবন্ধীদের ইস্যূতে রাষ্ট্র এত অমানবিক কোনো?

পরে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে তারা লেখেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে ইউএনসিআরপিডি’র ধারা ২৭, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর ধারা ১৬ (ঝ) ও ১৬ (ঞ) এবং সংবিধানের ধারা ২৯ এর ৩ (গ) ধারা লংঘন করেছে। এসব ধারা অনুযায়ী প্রতিবন্ধীদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এবং কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চত করণে তাদের কোটা বহাল রেখে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুরোধ করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ইমাম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউসুফ আলী ও তারেক রহমানসহ অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, এর আগের বিজ্ঞপ্তিতেও প্রতিবন্ধীদের কোটা ছিল। কিন্তু এবারে এই বিজ্ঞপ্তিতে নারী, পুরুষ ও পোষ্য কোটা রাখলেও রাখা হয়নি প্রতিবন্ধী কোটা।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন