শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তা নদী সুরক্ষার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

বৃহৎ তিস্তা নদী মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, পূর্নবাসন এবং তিস্তা তীরবর্তী কর্মহীনদের জন্য প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন ও শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের দাবিতে তিস্তা তীরবর্তী ২শত ৩০ কিলোমিটার জুড়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তা পাড়ের মানুষ।

তিস্তা বাচাঁও, নদী বাচাঁও সংগ্রাম পরিষদের উদ্দ্যোগে এবং তালুক শৌলমারী বি এস-সি পাড়া,হাজি পাড়া, বড়বাড়ি ও বাধেঁর পাড়ের এলাকাবাসীর সার্বিক আয়োজনে দীপ্ত সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ কৈমারী’র সৌজন্যে ও  অত্র নদী ব্যেষ্ঠিত হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত মানববন্ধনে কৈমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মহসিন আলীর মাষ্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আযম এলিচ।

শহিদুজ্জামান মিঠুর সঞ্চালায় এ সময় বক্তব্য রাখেন, শৌলমারী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রিপন আহাম্মেদ, ইউনিয়ন প্রজ্বন্মলীগ সভাপতি সুমন কাজী, সহ-সভাপতি আব্দুল বাকী, ৫নং তালুক শৌলমারী ইউপি সদস্য এনদাদুল হক, শৌলমারী বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা এ টি এম কামরুজ্জামান কামু প্রমুখ।

বক্তারা তিস্তা বাচাঁও, নদী বাচাঁও প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নদী বেষ্ঠিত কর্মহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রতি বছরে বন্যায় নদী আগ্রাসীরুপ নিয়ে নদীপাড়ের মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেয়। তাদেরকে নিয়ে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কোন সরকার। বর্তমান সরকার নদী বেষ্ঠিত জনগোষ্টির কথা বিবেচনা করে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার প্রশংসা করেন বক্তারা।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবির উন্নয়ন ফি প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রলীগের

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় মহাপরিকল্পনা গ্রহন করায় দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা  ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনি মমতাময়ী ” মা ” আপনি মানবতার ” মা ” দেশীয় অর্থায়নে দেশের বৃহৎ স্বার্থে আপনি পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ গর্বিত। ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে বাংলাদেশ। আপনার হাতেই নদী খনন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং সেই মহাপরিকল্পনার ব্যবস্থাপনায় বাস্তবিক প্রস্তাবিত বাজেটে নদীমাতৃক জনগোষ্টির ভাগ্য উন্নয়ন হতে যাচ্ছে।

মহাপরিকল্পনাটি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিত দিয়ে চেয়ারম্যান বাহাদুর বলেন, আমার উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের স্থায়ী পুর্নবাসন, ক্ষতিগ্রস্তদের শিল্পকলকারখানা নির্মানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও তিস্তা তীরবর্তী মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের ভুয়শী প্রশংসা করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক জোনে এ প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবিক ভুমিকা রাখলে নদীমাতৃক জনসাধারনের হৃদয়ে আশার আলো জ্বলবে। আমি মাননীয় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর আহবান জানাবো যাতে প্রস্তাবিত এ মহাপরিকল্পনা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হয়। এবং আমার বিশ্বাস আমাদের নেত্রী সেটা পারবে।

আনন্দাবাজার/শাহী/রাজা

সংবাদটি শেয়ার করুন