ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান ভলিবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সম্পন্ন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চেয়ারম্যান ভলিবল গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪ ঘটিকায় ছনুয়া ইউনিয়নের হাজ্বী কালামিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উক্ত খেলা সম্পন্ন হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে, শাহাব উদ্দিন রাকিবের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শাহাদত আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন তালুকদার, ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.হারুনুর রশীদ, ক্রীড়াবিদ এম. এনামুল হক বাহাদুর, ছনুয়া ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা আলমগীর কবির, ইসমাইল কুতুবী, আবদুল আজিজ (টিপু), ইউপি সদস্য হেফাজুল করিম, দৈনিক আনন্দবাজার ও একুশে পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি মো. বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

খেলায় শেখেরখীল হীরামন ভলিবল ক্লাব ও চকরিয়া খুটাখালী ভলিবল ক্লাবকে নামের দুটি শক্তিশালী দল মুখোমুখি হন। চকরিয়া খুটাখালী ভলিবল ক্লাবকে হারিয়ে শেখেরখীল হীরামন ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন হীরামন ক্লাবের তানভীর। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করা শেখেরখীল হীরামন ক্লাবকে ৮০ হাজার টাকা দামের ট্রপি ও রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করা চকরিয়া খুটাখালী ভলিবল ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা দামের ট্রপি প্রদান করে পুরস্কৃত করা হয়। খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মো. ফরহাদ হোসেন ও নাজিম উদ্দীন।

খেলা শুরুর প্রথম দিকে শেখেরখীল হীরামন ক্লাবের দর্শকরা উত্তেজনা সৃষ্টি করলেও; খেলায় দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সুশৃঙ্খলভাবে পুরো খেলা সম্পন্ন হয়। দু’দলের তুমুল লড়াইয়ে দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয় খেলার মাঠ। এতে দর্শকদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না।

উক্ত খেলার প্রধান অতিথি কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদের আ.ন.ম শাহাদত আলম বলেন, ’আজকে আমার মনে হয়েছে, জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এলাম। বাঁশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চল ছনুয়ার বুকে এ ধরণের আয়োজন দেখে সত্যি আমি আনন্দিত। দু’দলের খেলা উপভোগ করলাম। আমি মনে করি এ ধরনের আয়োজন প্রতি বছরই হওয়া উচিত।’

আনন্দবাজার/শাহী/বেলাল

সংবাদটি শেয়ার করুন