ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ডিম ছাড়া ও প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে ক্রয়-বিক্রয়, বিপণন, আহরণ,পরিবহন, বিনিময় ও মজুদ করতে টানা ২২ দিন (১৪ অক্টোবর- ৪ নভেম্বর) পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
এমন নির্দেশ বাস্তবায়নে কোস্টগার্ড, মৎস্য অধিদফতর, মাঠ প্রশাসন, নৌবাহিনী ও নৌপুলিশসহ দেশের নানা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও জেলেরা যে যার মতো করে নির্বিঘ্নে মা ইলিশ শিকার করছে।
তবে এই নিষিদ্ধ সময়ে কয়েক শ জেলেদের আটক, টাকা জরিমানা, মামলা এবং তাদের কয়েক লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করছে। কিন্তু এরপরেই কোনভাবেই ইলিশ ধরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না পুলিশ প্রশাসন। এদিকে উল্টো ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা ও টহল দিতে গিয়ে জেলেদের কর্তৃক হামলার শিকার হচ্ছে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ ও মাঠ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বরিশালের হিজলা এবং সদর উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনা ও টহল দিতে গিয়ে চলতি মাসের ১৪-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ পুলিশসহ এক স্পিডবোট চালকসহ মোট ছয় জন আহত হয়েছেন।
আর জানা গেছে, গেল বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাতে হিজলার মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের সময় নৌকাসহ দুই জেলে আটক করা হয়। কিন্তু তাদের ছিনিয়ে নিয়ে ৫/৭ জেলে মিলে হামলা চালিয়ে তাদের উপর। ফলে দুই নৌপুলিশ সদস্যদের আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্যদের হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়াসহ হামলাকারী জেলের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই সাথে রিপন বাঘা ও সজিব নামে দুুুই জেলেকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন হিজলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শেখ বেল্লাল হোসেন।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ বলেন , নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ আহরণ থেকে বিরত রাখতে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সত্বেও অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা প্রায়ই নানা স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে। তবুও ইলিশ শিকারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জেলেদের আটক, জরিমানা, মামলা ও তাদের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়ে ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে