নৌবাহিনীর এক লেফটেন্যান্টকে মারধর করেছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম। হাজী সেলিমের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক আহমেদ খানের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে প্রতিবাদ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার স্ত্রীর গায়েও হাত তোলে এরফান সেলিম ও তার সহযোগীরা। রবিবার সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এরফান সেলিমকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে ধানমণ্ডি থানায়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।
ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ওই গাড়িটি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের। ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে এরফান সেলিম, নিরাপত্তারক্ষীসহ ৫-৬ জন ছিলেন। লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় আজ সকালে মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমকে। লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক ঢাকায় বিএনএস হাজী মহসীন নৌবাহিনীঘাঁটিতে কর্মরত।
রবিবার সন্ধ্যায় বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক। কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন ওয়াসিক। গাড়ি (নম্বর ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬) থেকে নেমে দুই ব্যক্তি তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তার স্ত্রীর গায়েও হাত তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াসিক।
এর পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে গাড়ি ফেলেই মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে এসে এমপির গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক বলে পরিচয় দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছেন।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস
