ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুতুবদিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূজা মন্ডপ তৈরি

কুতুবদিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জায়গায় পূজা মন্ডপ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বড়ঘোপ জেলে পাড়ার মৃত কালিপদ আচার্য্যর ছেলে বাদল আচার্য্যরে বিরুদ্ধে চা ল্যকর এ অভিযোগটি তুলেছেন একই এলাকার মৃত মহেন্দ্র লাল দাশের ছেলে রধীর কান্তি দাশ।

এ বিষয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর রধীর কান্তি দাশ বাদী হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলির আদালতে একটি মামলা (এম.আর ৭৯৪/২০২০ ইং) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বিরোধীয় জমিতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি)কে এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ মৌজার আর.এস ৪০২ নং খতিয়ানের আর.এস ৪৭৩৬, ৪৭৩৭, ৪৭৩৯, ৪৭৪০ দাগাদির তুলনামূলক বি.এস ২৪০২ খতিয়ানের বি.এস ৬৭৯৭, ৬৭৯৮ ও ৬৭৯৯ দাগাদির আন্দর ১৪ শতক জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক রধীর কান্তি দাশ, ভোলা নাথ দাশ ও লেদু রায় দাশ। দীর্ঘদিন যাবত রধীর কান্তি দাশ ওই জমি ভোগ দখলে রয়েছেন।

কিন্তু বিগত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে তফশীলোক্ত জমি অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের সাহায্যে জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা করে বাদল আচার্য্য। পরে রধীর কান্তি দাশ সহ স্থানীয়দের প্রতিরোধে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে বাদীর অভিযোগে প্রকাশ।

রাধীর কান্তি দাশ আরো জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ওই জমিতে মন্ডপ তৈরি করে পূজার প্রস্তুতি নিয়েছে এবং মন্দির নির্মাণের নামে বিভিন্নভাবে জমি দখলের পাঁয়তারা করে চলেছে বাদল আচার্য্য।

বাদল আচার্য্য বলেন, আমি ওই জমির খরিদ সূত্রে মালিক। তারপরেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং পূজা উদ্যাপন কমিটির কথামতো আমি ওই স্থান থেকে প্রতিমা সরিয়ে নিয়েছি।

উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সমীর কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব সেন বলেউপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে পূজা পালনে সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তারপরেও একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাদের নামে কুৎসা রাটিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে নিষেধাজ্ঞাকৃত জায়গাতে পূজা আয়োজন না করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই স্থান থেকে প্রতিমাসহ পূজা মন্ডপ সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।

আনন্দবাজার/শাহী/শাহজীদ

সংবাদটি শেয়ার করুন