ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র নদীভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি, দিশেহারা দরিদ্ররা

গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়ায় ঘাঘট নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়েছে অধিকাংশ ঘরবাড়ি ও ফসল। গতকাল বুধবার সকালে ওই সময়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডলকে পরিদর্শন করতেও দেখা গেছে।

পরিদর্শন শেষে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল জানান, নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষ্দের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, গেল সেপ্টেম্বর মাসে জামালপুর ইউনিয়নে কয়েক দফায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। সম্প্রতি বন্যার পানি কমতে থাকায় শুরু হয়েছে ঘাঘটের এই ভাঙন। ইতোমধ্যে এ ভাঙনের কবলে প্রায় ১০টি ঘরবাড়ি চলে গেছে নদীগর্ভে। সেই সাথে ফসলি জমিও বিলীন হয়েছে অনেকের।

এছাড়া অন্তত আরও শতাধিক বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। হুমকির সম্মুখীন এসব পরিবারের মানুষরা ঘরবাড়ি নিজেদের জায়গা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে অন্য স্থানে। নদী ভাঙনের শিকার দরিদ্রদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে আত্নীয়-স্বজনদের বাড়িতে। আবার কেউ কেউ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অন্যের জমিতে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী দরিদ্র মানুষগুলো ব্যাপক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পায়নি। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পাতিল্যাকুড়া-চকদাড়িয়া (উত্তরপাড়া) নামকস্থানে নদী ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত খবির উদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ জানান, দরিদ্রতার সাথে লড়াই করে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। এর মধ্যেই ঘাঘট নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে আমার ঘরবাড়ি। ফলে বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় ব্যাপক দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছি।

সফুরা বেওয়া নামের আরেক বৃদ্ধা জানান, ঘাঘট নদীর ভাঙনের ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি। যে কোনো সময়ে চলে যেতে পারে নদীর পেটে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পাড় করছি।

জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন