সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আগের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বড় করে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বর্তমানে ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এর সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফলে নতুন এক রুপ পাবে বিমানবন্দরটি।
জানা গেছে, বর্তমানে ওই বিমানবন্দরের টার্মিনালে বছরে মোট ছয় লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যায়। কিন্তু নতুন টার্মিনালের মাধ্যমে বছরে ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে।
খুব দ্রুত গতিতে এ বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বর্তমানে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে শক্তিশালীকরণ এবং এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ শেষের পথে রয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে গত ১ অক্টোবর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরটিতে উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হবে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন। এই টার্মিনালে আটটি বিমান একসাথে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এর বাইরে দুই হাজার ৪১৫ বর্গমিটারের ফায়ার স্টেশন, দুই হাজার ৭৭২ বর্গমিটারের কন্ট্রোল টাওয়ার, ছয় হাজার ৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, এক হাজার ৩৯৫ বর্গমিটারের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
এ ছাড়া দুই হাজার ৫২৪ বর্গমিটারের ইউটিলিটি ভবন, ৬০৬ বর্গমিটারের মেইনটেন্যান্স ভবন এবং ৯ হাজার ২৯৯ বর্গমিটারের মধ্যে আবাসিক ভবন নির্মিত হবে। বিদ্যমান সুবিধাসহ আরও অ্যাপ্রোনের সংযোগকারী ট্যাক্সিওয়ে, সুপরিসর ছয়টি উড়োজাহাজ পার্কিং উপযোগী ৭১ হাজার ৭৪৩ বর্গমিটার অ্যাপ্রোন নির্মাণ, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো এবং স্থাপনাও নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্পের অধীনে আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ছয়টি বোর্ডিং ব্রিজ (ডাবল ডকিং দুটি, সিঙ্গেল ডকিং দুটি), কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার, যার মধ্যে দুটি স্বয়ংক্রিয়, বহির্গামী এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য মোট ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার। এ ছাড়াও থাকছে ৯টি লিফট,ছয়টি এস্কেলেটর এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য তিনটি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন।
আন্নদবাজার/এইচ এস কে