ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ

করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্য। যে কারণে নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে না কর্মসংস্থান। আর এতে বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্বের হার। অসংখ্য মানুষ নতুন করে নেমে যাচ্ছে দারিদ্র্যসীমার নিচে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন কিন্তু তাদের জন্য বর্ধিত হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম হলো বেসরকারি খাত। কিন্তু বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ছে না। এটা শুধু করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণেই নয়; করোনা শুরু হওয়ার আগে থেকেই বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিনিয়োগ সূচক নেতিবাচক রয়েছে। আর মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি তো কমছেই। সবমিলে বর্ধিত হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে। এতে অনেক মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। এটা উত্তরণের একমাত্র উপায় বিনিয়োগ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা

ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, প্রতিবছরই ২৫ লাখ নতুন মুখ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। কিন্তু কাঙ্খিত হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। উচ্চ হারের করনীতিই কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম বাধা।

এ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের বিভিন্ন খাতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে গেছে প্রায় ৫০ ভাগ। বর্তমান অবস্থায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টিই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আগে থেকেই কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ ছিল, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ চ্যালেঞ্জের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন