নগরায়নের সাথে সাথে খাতভিত্তিক মহাপরিকল্পনা নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-এর যন্ত্রকৌশল বিভাগ আয়োজিত ‘এনার্জি সিকিউরিটি অফ বাংলাদেশ: ইস্যুস অ্যান্ড অপশনস’ শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলচালিত যানবাহনের ইঞ্জিনের দক্ষতা ২০ শতাংশ আর বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ইঞ্জিনের দক্ষতা ৮০ শতাংশ। তাই বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নীতিগত সমর্থন প্রয়োজন। বিদ্যুৎ বিভাগ প্রয়োজনীয় চার্জিং স্টেশন করে দিবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন যত পরিকল্পিতভাবে হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ তত টেকসই হবে।
তিনি বলেন, বিতরণ ও সঞ্চালন খাতে ধারাবাহিকভাবে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দিনের চাহিদার সাথে সম্বনয় করে মানব সম্পদ উন্নয়নকেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নেট মিটারিং সিস্টেম, মাইক্রো ও ম্যাক্রো লেভেলের তথ্য, অটোমেশন, বিনিয়োগ এবং করোনা মাহামারি পরবর্তী জ্বালানি চাহিদা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম। প্রবন্ধে তিনি আলোকপাত করেন জ্বালানি খাতের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন, আগামী দিনের চাহিদা, আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ আইন, গ্যাস ও এলএনজির ব্যবহার, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-এর যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই সেমিনারে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ও আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক ও আন্তর্জাতিক) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, জিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুজ্জামান, আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস
