সরকারি ভবনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)। ইতোমধ্যে ‘এনার্জি এফিসিয়েন্সি পাবলিক বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
স্রেডা জানায়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এটি একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। এই মডেল অনুসরণ করলে সরকারি ভবনের জ্বালানি দক্ষতা অনেক বেড়ে যাবে। এতে এক দিকে জ্বালানির সাশ্রয় হবে, তেমনই আর্থিকভাবে সরকারি খাতও ব্যাপকভাবে লাভবান হবে। এই উদ্যোগ বেসরকারি পর্যায়েও চালু করা যেতে পারে। ফলে বেসরকারি ভবনগুলোতেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এতে ভোক্তার বিদ্যুৎ বিল বরতমানের তুলনায় অনেক কমে আসবে।
ইতোমধ্যে ঢাকার বেসরকারি খাতের কিছু ভবনকে জ্বালানি সাশ্রয়ী হিসেবে গড়ে তুলেছেন এর উদ্যোক্তারা। এসব ভবনে দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার যেমন করা হচ্ছে। সেই সাথে ভবনে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এতে ভবনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকার ফলে ঘর ঠাণ্ডা রাখার কাজে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে না।
এই ব্যাপারে স্রেডার চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহম্মদ আলাউদ্দিন জানান, আমরা এনার্জি এফিসিয়েন্সি নিয়ে ৫ টি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে পাবলিক বিল্ডিং একটি। জার্মানির উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিআইজেডের সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে আমরা নিরীক্ষা কার্যকম শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছি।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গত ৯ আগস্ট স্রেডার সাথে জিআইজেড-এর একটি সভা হয়। তারা মোট ১২টি বিল্ডিং নির্বাচন করে জ্বালানি সাশ্রয়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জরিপ করার উদ্যোগ নেয় স্রেডা। এছাড়াও এ কাজে জিআইজেডের টেকনিক্যাল কনসালটেশন টিম নিয়োগের কাজও করা হচ্ছে।
স্রেডার কর্মকর্তারা জানান, এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে এক মেগাওয়াট সাশ্রয় করা বেশি উত্তম। বর্তমানে সারাবিশ্বই এই নীতি মেনে চলে। কিন্তু আমাদের এখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের ব্যাপক অপচয় হয়। যেসব যন্ত্রাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেগুলো লাগানোর ব্যাপারেও নেই কোন সঠিক দিক-নির্দেশনা। ফলে সস্তা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়, যা মূলত বিদ্যুতের অপচয়কে বাড়িয়ে দেয়। তবে নিরীক্ষা করে এসব ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে