ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলের আভ্যন্তরীন ঐক্যের কারণে নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবে না

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএস কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরম জনপ্রিয়তা, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা এবং দলীয় ঐক্যের কারনে নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

নওগাঁ-৬ (রানীনগর ও আত্রাই) এক সময় রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। এই এলাকার মানুষ কখনও সর্বহারা আবার কখনও বাংলা ভাইয়ের অত্যাচারে আতঙ্কিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের যখাযথ পদক্ষেগ গ্রহণের ফলে এখন এই এলাকায় শুধুই শান্তির সুবাতাস বইছে। আর এই এলাকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। অন্যদিকে বিগত কয়েক বছরে নওগাঁয় যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে তা এই এলাকার মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। কাজেই এমন কোনশক্তি নাই আগামী ১৭ অক্টোবরের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে পরাজিত করবে।

তিনি বুধবার রাত ৯টায় নওগাঁ’র একটি হোটেল লাউঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাসান আল মামুন এবং জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিমান কুমার রায়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএস কামাল আরও বলেছেন, ১৭ অক্টোবরের উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকে তাহলে নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে উল্লেখ করে তিনি শেষ পর্যন্ত বিএনপি’কে নির্বাচনের মাঠে থাকার আহবান জানান।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন সাংবাদিকরা একটি দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা একটি সরকারের দোষ ত্রুটি তাদের লেখনীতে তুলে ধরে সরকারকে সঠিক পথনির্দেশনা প্রদান করে। এতে সরকারের সংশোধনের সুযোগ থাকে।

তিনি আরও বলেন আওয়ামীলীগ ৪ ধরণের মানুষকে কখনও দলে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। এই চার ধরনের মানুষ হচ্ছে যারা দুর্নীতির সাথে যুক্ত, যারা সন্ত্রাস করে, যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত এবং যারা মাদকের সাথে জড়িত।

এসএস কামাল বলেছেন, কেউ কেউ অভিযোগ করে বলে সরকার সংবাদপত্রের কন্ঠ রোধ করেছে। কিন্তু এই সরকারের সময়েই সর্বাধিক টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের অনুমোদন লাভ করেছে। এসব সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/শাহী/অনিক

সংবাদটি শেয়ার করুন