ই-পাসপোর্ট নিয়ে শুরুতেই ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনগণক। কারণ ই-পাসপোর্টের সর্ম্পূণ কার্যক্রমটি টেকনিক্যাল হওয়ায় এর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ কর্মী যেমন নেই, সেই সাথে রয়েছে আবেদনকারীদেরও অজ্ঞতা।
জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের কারিগরি মান বৃদ্ধি পেলেও দক্ষ কর্মী এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। পাসপোর্ট অফিসে যারা এমআরপি পাসপোর্টের কাজ করতেন, তাদেরকে দিয়েই ই-পাসপোর্টের কাজ করানো হচ্ছে। তবে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের সর্ম্পূণ কার্যক্রমটি স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় টেকনিক্যাল বিষয় জড়িত। তাই বিষয়টি রপ্ত করতে এসব কর্মীর বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।
অপরদিকে আবেদনকারীদের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক সমস্যা। অনেকে মোবাইল ফোন থেকে আবেদন করেন। এতে সফটওয়্যারে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। তাই আবেদনকারীদের কম্পিউটারের মাধ্যমে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ই-পাসপোর্ট করার জন্য যে সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে তাতে রাজধানীতে যে থানাগুলো রয়েছে এর সাথে আরও থানা বাড়ানো হয়েছে। ফলে সেসব নতুন থানার নাম সফটওয়্যারে না থাকায় আবেদনকারী যখন নতুন থানার নাম দিচ্ছেন তখন ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
কএই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সফটওয়্যারে একটি ডট বদলানোও অনেক কঠিন। এ ছাড়া দেখা গেছে, অনেকে আবেদন করার সময় ইন্টারনেট ড্রপ করেন। এতে আবেদনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেকে আইফোন থেকে আবেদন করতে চান, কিন্তু এতে সিস্টেমে ঢোকা যায় না। আবার অনেকে ঠিকানা ভুল করেছেন। কারও কারও জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা এক স্থানে, আবেদন করছেন অন্যস্থান থেকে। অনেকের বারকোডের প্রিন্টে ভালোভাবে কালি না পড়ায় সেগুলো মেশিন রিড করতে পারছে না। আবার অনেকের ১০ আঙুলের ছাপ স্পষ্ট না হওয়ায় সেগুলো মেশিন রিড করতে না পারায় অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে