হাসপাতাল পল্লি হিসেবে পরিচিত কলকাতার বাইপাস সড়কের পাশের মুকুন্দপুর এলাকাতে আর এন টাগর, দেবী শেঠি, মেডিকা, আমরি, পিয়ালেসসহ নামিদামি নানা বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের অবস্থান। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের ৪০ ভাগই বিদেশি রোগী। যার মধ্যে আবার ৩৫ ভাগই বাংলাদেশি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গেছে দৃশ্য। বাংলাদেশি রোগীর অভাবে রয়েছে কলকাতার এসব হাসপাতাল।
উন্নত চিকিৎসা নিতে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান থেকেও বহু রোগী কলকাতার এই হাসপাতাল পল্লিতে ভিড় করতেন নিয়মিত। করোনার কারণে গত ১৪ মার্চ থেকে বিদেশিদের জন্য সব ধরনের সাধারণ পর্যটন ভিসা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পহেলা জুন থেকে দেশটি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করলেও বাংলাদেশ থেকে ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশি রোগীর দেখা নেই এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে!
আর এন টাগর হাসপাতালের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, একটা বড় ধাক্কা সবাই খেয়েছে। যোগাযোগ স্থাপন করা আর যাচ্ছে না। কারণ সবকিছু ব্যাহত হচ্ছে লকডাউন আরোপের পর থেকে। এ ধাক্কা, সেটা অর্থনীতির পাশাপাশি শারীরিক নানা অসুখে যারা ভোগছেন তারাও কিন্তু আজকে অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।
মুকুন্দপুরের একটি নামি হাসপাতালের ৫টি শাখা রয়েছে কলকাতায়। সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী মিলিয়ে কাজ করেন প্রায় ৩ হাজার স্টাফ। প্রতি মাসে তাদের আয় ৩০ কোটি রুপি। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশি রোগীদের কাছ থেকেই আয় হতো প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি রুপি। জানা গেছে, বাকি হাসপাতালগুলোর চিত্রও এখন একই রকম।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস