গাজীপুরে করোনার প্রভাবে ব্যবসার আর্থিক ক্ষতি মেটাতে ওসি পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ ওসমান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদ (৩৩)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ইশ^রগঞ্জ থানার রামনগর গ্রামের মোঃ রুশমত আলীর ছেলে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক ও স্থানীয়রা জানান, গত বেশ কিছুদিন ধরে ওসমান নিজেকে কালীগঞ্জ, শ্রীপুর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি ও পূবাইলসহ গাজীপুরের বিভিন্ন থানাসহ নরসিংদীর পলাশ থানার ওসি বা ওসি (তদন্ত) হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ও ওইসব কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় ব্যবসায়ী, ধনাঢ্য ব্যাক্তি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মোবাইলে ফোন করতো। সে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সম্প্রতি সে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সহিদুল ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে মোয়াজ্জেম হোসেন বৃহষ্পতিবার বিকেলে সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওসমানের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি (মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে) ব্যবহার করে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জিএমপি’র পূবাইল থানার মীরের বাজারের (মাজু খান) রেলক্রসিং এলাকা হতে ওসমানকে গ্রেফতার করে। পরে ওসমানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৩লাখ টাকাসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার গ্রেফতারকৃত ওসমানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ওসি একেএম মিজানুল হক আরো জানান, মীরের বাজার এলাকার আব্দুল আলীর বাড়িতে স্বপরিবারে ভাড়া থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ফলের ব্যাবসা করতো ওসমান। করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যাবসায় মন্দা হলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে। এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সে প্রতারনার পথে নামে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে ওসমান।
আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ