পটুয়াখালীর বাউফলে কোচিং সেন্টার গুলো বন্ধ থাকলেও ব্যাচ মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষক। করোনা মহামারি প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। শিক্ষা অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার কোন ধরনের নির্দেশনা দেয় নাই। কিন্তু বাউফলের চিত্র পুরাই ভিন্ন, রাস্তায় প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের যাতায়াত দেখে বুঝতে কষ্ট হবে যে করোনা মহামারি’র জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
৩/৪ জন করে শিক্ষার্থী দল বেধে তেমন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই প্রাইভেট পড়তে যায় সকাল ও বিকেলের দিকে। শিক্ষক ‘রা প্রতি ব্যাচে ০৫-১০ জন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ায়। শিক্ষার্থীদের আসন গ্রহনের ক্ষেত্রে মানা হয় না কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। বাউফলের এই প্রাইভেট বানিজ্যের কারণে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় থানা ব্রিজের পূর্ব পারে, গার্লস স্কুল সড়ক, হাইস্কুল সড়ক সহ উল্লেখযোগ্য মেইন পয়েন্টগুলোতে প্রকাশ্য অনিয়ম (প্রাইভেট বানিজ্য) চললেও বিষয়টি নজড়ে আসছে না প্রশাসনের। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে স্কুল ভবনের কক্ষে প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হয় নাই।
তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেকদিন যাবত স্কুল বন্ধ তাই শিক্ষা গ্রহণের জন্য তাদের প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম জানায়, তিনি কোন ধরনের অভিযোগ পায় নাই। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে মাজিস্ট্রেট সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমন