ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মপাশায় গণপাঠাগার চালু করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদরে অবস্থিত একমাত্র সরকারি গণপাঠাগারটি সংস্কার ও দ্রুত চালু করে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করার দাবীতে গতকাল সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ওই পাঠাগারের সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্র মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ অশংগ্রহণ করে। ধর্মপাশা উপজেলার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
জানা যায়, ১৯৯৩ সালে স্থাপিত হওয়া  সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার একমাত্র সরকারি গণপাঠাগারটি ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে এই গণপপাঠাগারটি বন্ধ রয়েছে। তাই ভবনটির প্রয়োজনীয় সংস্কার, বইপত্র ও আসবাবপত্রের অভাবে উপজেলা পরিষদের এলাকায় থাকা একমাত্র সরকারি গাণপাঠাগারটিতে তালা জুলছে।
এতে করে বই প্রেমিরা চাহিদামাফিক বই পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জ্ঞানের আলোর পরিধি বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতি প্রিয় ও ক্রিড়া প্রেমীরা সাংস্কৃতি ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব তালুকদার, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের তড়িৎ ও ইলেকট্রিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গৌতম তালুকদার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাসাগরবিদ্যা বিভাগের
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত জামিল রিয়াদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফুল ইসলাম ফারাবী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলমগীর কবির শান্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বর্ণা তালুকদার প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ, পার্থ দেবনাথ, আশরাফুল আলম, ফারুক ইসলাম, আকাশ শিং সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলো।
মানববন্ধনে বক্তারা, পাঠাগারসহ, শিল্পকলা, খেলার মাঠ ও শিশু বিনোদন কেন্দ্র সংস্কার করে দ্রুত চালু করার দাবী জানান।
ধর্মপাশা উপজেলা সাহিত্য পরিষদের  সভাপতি কবি আনিসুল হক লিখন বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমি জানিনা। তবে তাঁদের স্বাদুবাদ জানাই। আসলেই এই গণপাঠাগারটি খুব দ্রুত সংস্কার ও চালু করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. মুনতাসীর হাসান সাংবাদিকদের  বলেন, মানববন্ধনের বিষয়টি আমি শুনেছি । তবে পাঠাগারের ভবন সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ চলমান রয়েছে। অতি শীঘ্রই উদ্বোধন ও চালু করে দেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/মোবারক

সংবাদটি শেয়ার করুন