সাভারে বন্যার্ত ও দুস্থদের জন্য দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সামগ্রী জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করার জন্য এই ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অসহায়দের দেওয়ার পরিবর্তে মজুদ করে রেখেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাথালিয়া ইউনিয়নের নয়ারহাট গণবিদ্যাপীট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি রুমে মজুদ রাখা ওই ত্রাণ সামগ্রী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৪৯ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১০ কেজি করে ৫২টি চালের প্যাকেট।
ওই ত্রাণ সামগ্রীগুলো গত ৭ আগস্ট তারিখে দুস্থদের মধ্যে বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ সামগ্রীগুলো বিতরণ না করে নয়ারহাট গণবিদ্যাপীট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি রুম নিজের লাগানো তালা দিয়ে তালাবন্ধ করে মজুদ করে রাখেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাপারটি জানতে পেরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হক রাতে স্কুলে গিয়ে দুটি রুমের তালা খুলে ৪৯ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫২ প্যাকেট চাল জব্দ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) একরামুল হক জানান, বন্যার্ত ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণগুলো বিতরণের জন্য সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যান রেখেছিলেন। তবে সেগুলো তিনি কি কারণে এতদিন বিতরণ করেন নি জানতে চাইলে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
সাভার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা জানান, গত ৭ অগাস্টের মধ্যে দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার কথা ছিলো সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যান কেন বিতরণ করেননি। তাকে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তার পরে তার বক্তব্য শুনে আমরা তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিব।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান জানান, এ ইউনিয়নে ত্রাণ সামগ্রীর কার্ড পাওয়া অনেক লোকজন বিভিন্ন সমস্যার কারণে ত্রাণ সামগ্রী গুলো নিয়ে যায়নি। সেজন্য সেগুলো স্কুলে মজুদ করে রাখা হয়েছে। আর যে দুটি রুমে ত্রাণ সামগ্রী মজুদ করে রাখা হয়েছে সেই রুম থেকে আমরা সারা বছরই ত্রাণ সামগ্রী স্থানে স্থানে বিতরণ করে থাকি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে