বাংলাদেশের ধনিয়া বীজ যাচ্ছে মহাকাশে। মহাকাশে গবেষণায় ব্যবহারের জন্য বিশ্বের কয়েকটি দেশের বীজ যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বীজও।
জানা গেছে, মহাকাশে এই বীজের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন নভোচারীরা। বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার দেশ তাইওয়ান, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেও ধনিয়া বীজ যাবে মহাকাশে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করা বীজও থাকছে এই তালিকায়।
চলতি মাসেই বাংলাদেশ থেকে জাপান হয়ে স্পেস কার্গো বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে এই ধনিয়া বীজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এমআইটির কানেকশন সায়েন্সের প্রধান প্রকৌশলী মিজানুল চৌধুরী।
তিনি জানান, গতকাল বুধবার রাত ২ টায় এই খবরটি আমি পাই। আমি তখন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান-নাসা এবং জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি-জেক্সার সঙ্গে একটি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলাম। তবে এটি বাংলাদেশের জন্যে অনেক বড় একটি খবর।
আর এতে আন্তর্জাতিক মানের একটি দীর্ঘ গবেষণার অংশ হয়ে উঠলো বাংলাদেশ। দেশের জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারে যা সুদূরপ্রসারী ফল এনে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মিজানুল চৌধুরী আরও বলেন, আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের রকেটে চড়ে স্পেস স্টেশনে যাবে এই বীজ। পরে ২০২১ সালের জুন মাসে এই ধনিয়া বীজগুলোকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে জুলাই মাসে বাংলাদেশের বীজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। পরে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানীরা এই ধনিয়া বীজের ওপর পরবর্তী পরীক্ষা করবেন।
গবেষণার পর পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকে তারা জানাবেন। তবে সঠিক দিনক্ষণ বা সময় এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। কেননা অন্যান্য সময়সূচির ওপর এই ব্যাপারটি নির্ভর করছে।
ইতোমদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মাধ্যমে ধনিয়া বীজগুলো সংগ্রহ করে মহাকাশে গবেষণার জন্যে পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে