ঢাকা | রবিবার
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ফের বন্যা, নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

আবারও বন্যার কবলে গাইবান্ধাবাসী। এ বছর চার দফা বন্যার পর ৫ম দফায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। ফলে বর্তমানে জেলার ব্রহ্মপুত্র-তিস্তার পানি বেড়ে করতোয়া ও ঘাঘট নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুমের তথ্য হতে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় করতোয়া নদীর পানি ১০৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ৫ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি ৫৪ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

গেল কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে পানির নেমে আসাতে জেলার নদ-নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী ও নিচু এলাকার অনেক ঘরবাড়ি এবং ফসলাদি পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সাথে ভেসে গেছে শতশত হেক্টর পুকুরের মাছ। এমনকি বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঘটেছে ব্যাপক বিপর্যস্ত। সেই সাথে ভেঙে গেছে পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও।

বর্তমান রিস্থিতিতে পানিবন্দী হয়ে বাস করছে অসহায় সব মানুষ। এমনকি গৃহপালিত পশু-পাখিও দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধপানি, টয়লেট, খাদ্য ও আবাসনের ব্যাপক অভাব। যেনো অসহায় ওই মানুষদের দুর্ভোগের অন্ত নেই ।

বন্যার শিকার নাজিম উদ্দিন নামে এক কৃষক জানান, চলতি বন্যায় ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় স্ত্রী-সন্তান ও গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সেই সাথে খাদ্যের অভাবও রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন জানান, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়া অসহায় মানুষগুলোর জন্য আশ্রয় কেন্দ্রসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলমান রয়েছে। এটি মোকাবিলায় সর্বাত্নকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন