ঢাকা | শুক্রবার
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদী ভাঙন রোধে সরকারের স্থায়ী প্রকল্প

চলতি বছর কয়েকদফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সাধারণ মানুষ। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। দেশে নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। নদী বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত জানান, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কোনভাবেই নদী ভাঙন কমানো যাচ্ছে না।

এই ব্যাপারে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানান, সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে স্থায়ী প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার।

স্থানীয়রা জানান, নদীর পাড়ে কোন ব্লক যদি না দেওয়া হয় তাহলে বালু দিয়ে কিছুই হবে না। ভাঙতে ভাঙতে এই এলাকার দুই পাড়ে আর কিছুই থাকবে না। তবে আমাদের গ্রামটা রক্ষা করলে আমরা বেঁচে যেতাম। অনেক স্কুল, মাদরাসা, হাট বাজার, সবই নদী গর্ভে চলে গেছে।

প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেও কেন ভাঙন প্রতিরোধ কড়া যায় না সেই প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। ভাঙন রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পরেও নদীর আগ্রাসী ভূমিকার কারণে কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না নদীর ভাঙন। এতে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাষ্ট্রের ক্ষতি। তাই রাষ্ট্রের এই ক্ষতি কমাতে বা নদী ভাঙন ঠেকাতে সরকারকে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সঠিক কর্মপন্থা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।

ড. আইনুন নিশাত আরও জানান, নদী তার নিজস্ব গতিতে চলে, কিন্তু মানুষের ক্ষতি করে, এমন নদীর গতি পথ পালটে দেওয়া এবং শাসন করা যেতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া বেশ ব্যয় বহুল বলে সরকার এই পথ এড়িয়ে চলে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন