কক্সবাজার জেলার সকল ইউনিয়নে বিট পুলিশিং বা একটি করে পুলিশ বিট কার্যক্রম চালু করার সীদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ হেডকোর্টারের। একই সাথে কক্সবাজার কমিনিটি পুলিশের বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত সব কমিটি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মুঠোফোনে আনন্দবাজারকে এ এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, পুলিশ হেডকোর্টারের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার সকল ইউনিয়নের দ্রুত ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রম চালু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিট পুলিশিং এর জন্য একজন করে পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সহ পাঁজনের পুলিশ সদস্যের থাকবেন।ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে একটি রুমকে বিট পুলিশিং এর কার্যক্রম জন্য ব্যবহার করা হবে।
ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, বিট পুলিশিং পুলিশ বিট হিসবে চিন্তা করা হবে। একটি পুলিশ বিট যে ধনের কার্যক্রম পরিচালিত হয় একইভাবে বিট পুলিশং এর কার্যক্রম চলবে।
এতে করে পুলিশ বাহিনী আরো বেশি জনবান্ধব ও মানুষের কাছাকাছি থেকে সেবা নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করেন ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
এদিকে বির্তকের কারনে কক্সবাজার কমিনিটি পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজারে কমিনিটি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে অনেকেই মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। কেউ বা থানার দালালি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আদায় করছেন টাকা। বিশেষ করে টেকনাফ- উখিয়ায়র কমিনিটি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই।
এ ছাড়াও কক্সবাজার কমিনিটি পুলিশের জেলা সভাপতি তোফাইল আহমেদকে নিয়েও এখন বিতর্ক চরমে।এ কারনে অনেকেই কমিনিটি পুলিশকে বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিআইজি জানান, অভিযোগের ভিক্তিতে কমিনিটি পুলিশের বিতর্কিত সবাইকে বাদ দিয় ঢেলে সাজানো হবে।
কমিনিটি পুলিশ বিলুপ্তি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিনিটি পুলিশ কোন আইনি কাঠামোর উপর ভিক্তি করে গঠে উঠে নাই। এটি কমিনিটির একটি অংশ। তবে আলটিমেটলি মানুষ বিট পুলিশিং এর দিকে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
আনন্দবাজার/শাহী/জসীম