দেশে খাদ্য নষ্ট ও অপচয় সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান, জরিপ ও উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত নেই। তবে ২০১০ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২২-৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের পরে মেয়াদউত্তীর্ণের আগেই নষ্ট হয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উৎপাদন পর্যায়ের কাছাকাছি ধাপগুলোতে খাদ্য বেশি পরিমাণে নষ্ট হয়ে থাকে কিন্তু ভোক্তাপর্যায়ে তা কম।
অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোতে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। সেখানে বিক্রেতা ও ভোক্তাপর্যায়ে খাদ্য বেশি নষ্ট হয়ে থাকে। প্রতিবছর ১ বিলিয়ন টনেরও বেশি উৎপাদিত খাবার বিশ্বে নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে, বিশ্বে প্রতি ৯ জন মানুষের মধ্যে একজন অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) সহযোগিতায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে গতকাল ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে খাদ্য নষ্ট এবং অপচয়’ শীর্ষক আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন এফএও ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের প্রগ্রাম ম্যানেজার (খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা) আশুন্তা তেস্তাসহ আরো অনেকেই।
আনন্দবাজার/ইউএসএস