ঢাকা | রবিবার
১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়াদোত্তীর্ণ দেশের ১২৭০টি রেলসেতু, চলছে ঝুঁকি নিয়েই

সারা দেশজুরে রেলপথ রয়েছে দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার। আর এসব পথে সব মিলিয়ে তিন হাজার ৬৫০টির বেশি রেল সেতু রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে এক হাজার ২৭০টি রেলসেতুর আয়ুষ্কালই পেরিয়ে গেছে। তাই ব্যাপক ঝুঁকি নিয়েই মেয়াদোত্তীর্ণ এসব রেল সেতুর ওপর দিয়ে চলছে ট্রেন।

ফলে অনেক সময়েই এসব সেতু ধসে পড়ে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে ঘটে বড় দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এসব সেতু পুনর্নির্মাণ ও পুনর্বাসনে দুটি পৃথক প্রকল্প নিতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এর মধ্যে মেজরগুলোর স্থলে গার্ডার সেতু এবং মাইনর স্থলে নির্মাণ করা হবে বক্স কালভার্ট। এজন্য মেয়াদোত্তীর্ণ সেতু পুনর্নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫৮২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর পঞ্চিমাঞ্চলের সেতুগুলো পুনর্নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এদিকে ইটের গাঁথুনিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় এসকল সেতুতে নিয়ন্ত্রণভাবে ট্রেন চলাচলে আদেশ দেওয়া হয়। ফলে ট্রেন চলাচলে সময়ানুবর্তিতা হ্রাস পাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাপক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ভীতি। তাই সেতুগুলো পুনরায় র্নির্মাণ করা প্রয়োজন।

তবে এক্ষেত্রে ২৫ টন এক্সেল লোড ধরে নতুনভাবে সেতুগুলোর ডিজাইন করা হবে। তাই দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক দুটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আর দুই প্রকল্প মিলিয়ে সেতুগুলো পুনর্নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় হাজার ৮১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান জানান, দুই অঞ্চলে নানা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বেশকিছু রেল সেতু পুনর্নির্মাণের কাজ চলমান আছে। বাকি মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুগুলো পুনর্নির্মাণে ২ টি পৃথক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্প দুটি যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর যাবে পরিকল্পনা কমিশনে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি)। বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন শেষে আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে সেতুগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন