ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচ দশকে কমেছে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণী

মানুষের কার্যক্রমের কারণে গত ৫ দশকে কমেছে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণী। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউএফ) লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডব্লিউডব্লিউএফ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবজাতির অর্ধশতকের কার্যক্রমেই পৃথিবীর বন্যপ্রাণীর সংখ্যা ৬৮ শতাংশ কমে এসেছে।

১৯৭০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৯২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও মাছের সংখ্যার পর্যালোচনা করা হয়েছে গবেষণাটিতে। এতে দেখা গেছে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে বিরূপ, এই অঞ্চলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে এসেছে ৯৪ শতাংশ।

ডব্লিউডব্লিউএফ এক বিবৃতিতে জানায়, বন্যপ্রাণীর সংখ্যা এই হারে কমে যাওয়া মানুষ ও প্রকৃতির বিরূপ সম্পর্ক নির্দেশ করে। জীববৈচিত্র্যের জন্য এটিই সবচেয়ে বড় হুমকি। ১৯৭০ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ৪ শতাংশ হারে কমেছে মিঠাপানির স্তন্যপায়ী, পাখি, উভচর ও সরীসৃপের সংখ্যা।

ডব্লিউডব্লিউএফ এর প্রধান বিজ্ঞানী রেবেকা শ’ সিএনএন-কে জানান, এটি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং আমি মনে করি আমরা ভয়াবহতার যেই মাত্রা চিন্তা করতে পারি এই ব্যাপারটি তারচেয়েও উদ্বেগজনক। মিঠাপানির বাস্তুসংস্থানে আমরা আশংকাজনক পরিবর্তন লক্ষ করছি। নদীতে বাঁধ দেয়া এবং পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য সংস্থানের জন্য গৃহীত কার্যক্রম এর অন্যতম প্রধান কারণ।

জাতিসংঘের কনভেনশন অব বায়োলজিকাল ডাইভার্সিটির কার্যনির্বাহী সেক্রেটারি এলিজাবেথ মারুমা ম্রেমা এক বিবৃতিতে বলেন, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের এই হার মানব-ইতিহাসে নজিরবিহীন এবং এর প্রভাব অত্যন্ত তীব্র। পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানের সার্বিক অবস্থা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানবজাতি এই হারে প্রকৃতির ক্ষতি করে প্রকৃতির অবদান এড়িয়ে গেলে, পারতপক্ষে তা আমাদেরই সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তাকে এড়িয়ে যাওয়া হবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন