কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এক অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী এই সমুদ্র সৈকত। কিন্তু বর্তমানে এই সমুদ্র সৈকতে ভাসছে গাছের গুঁড়ি, বোতল, ছেঁড়া জাল ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এতে একদিকে যেমন সৈকতের সৌন্দর্যহানি হচ্ছে, অপরদিকে পর্যটকদের চলাচলও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
পর্যটকরা জানান, গত দুদিন যাবত সৈকতের তীরে এসব ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকলেও পরিস্কার করার উদ্যোগ নেই। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, সেই সাথে পরিবেশকেও নষ্ট করছে।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে বন্ধ ঘোষণা করা সকল পর্যটন কেন্দ্র। ফলে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর গেল ১৭ আগস্ট থেকে আবারও সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় এই সমুদ্র সৈকত। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসু সব মানুষ।
এই সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালিয়াড়িতে যতদূর দেখা যায় শুধু ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এমনকি জোয়ারের পানিতে ভেসে আসছে বর্জ্য। গাছের গুঁড়ি, বোতল ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এতে সৈকতটি পর্যটকদের চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
তবে দ্রুত সৈকতে ভেসে আসা সব ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করা হবে বলে জানান কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট সিকিউরিটি ফোর্সের সুপারভাইজার খোরশেদ আলম।
তিনি জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে বিচের নানা জায়াগায় ময়লা ও আবর্জনা এসেছে। ব্যাপারটি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি , খুব দ্রুতই বিষয়টি সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ ও ৩০ জুলাই সৈকতে ভেসে আসে প্লাস্টিক, ছেঁড়া জাল, কাঁচের বোতল, রশি, জুতা, গাছের গুঁড়ি, খড়কুটোসহ ইত্যাদি ময়লা-আর্বজনা। ফলে এতে মারা যায় ৪০টির বেশি কচ্ছপ।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে