স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। আজ শুক্রবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর ) এই কথা জানায় ওই সংস্থাটি।
জানা গেছে, ২০১০ সালে জাতিসংঘের ‘এভরি ওমেন এভরি চাইল্ড’ আন্দোলনের পর থেকে ২০১৯ সালে ৫ বছরের কম বয়সের শিশুর মৃত্যুহার সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে একশ কোটিরও বেশি শিশুদের টিকা দেওয়া হয়।
ওই আন্দোলনের পর থেকে নিরাপদ পানি, টিকাদান কর্মসূচি থেকে শুরু করে নিরাপদ সন্তান প্রসবে আগের চেয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে এই তা আবারও পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে নানা অঞ্চলের জাতিগত সংঘাত, যুদ্ধ, দারিদ্রতা, এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মহামারিতে স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপক সঙ্কটে দুর্বল শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতিসংঘর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশেষ করে করোনার বিদ্যমান সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরেকটি ব্যাপার হলো, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী লকাডাউনে ১৯২টি দেশের ১১৬ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরে থাকা কন্যা শিশু এবং উঠতি বয়সী নারীরা যৌন হয়রানি সহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন।
এই ব্যাপারে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর রিপোর্টে বলেছেন, করোনার মহামারির আগেও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু প্রতি ছয় সেকেন্ডে বিশ্বের কোথাও না কোথাও মারা গেছে। কিন্তু বিদ্যমান সঙ্কট এ অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে