দেশে করোনার কারণে গত ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের পর্যটন নির্ভর সব মানুষ বেকার হয়ে জরিয়ে পড়ছেন হরিণ হত্যায়।
এ ছাড়াও অন্যান্য প্রাণী হত্যা, কর্তন নিষিদ্ধ গাছ কাটা ও বিষ দিয়ে মাছ ধরার মতো অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।
জানা গেছে, গেল ছয় মাসে এসব অপরাধে সুন্দরবন পূর্ব এবং পশ্চিম বন বিভাগে শতাধিক মামলা হয়েছে। সেই সাথে মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৪৩ জনকে। জব্দ করা হয়েছে ১২৪ কেজি হরিণের মাংস এবং জীবিত হরিণ ২৩টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মসংস্থানের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় বননির্ভর বেশিরভাগ মানুষই করোনাকালে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে বনে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।
এই ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, গত ৫ মে শিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়া ২২টি জীবিত হরিণ বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় ৩০ কেজি হরিণের মাংস, হরিণ শিকারের ফাঁদ এবং ট্রলারসহ তিন শিকারিকে আটক হয়। গত ১০ আগস্ট ইলিশ শিকারের অনুমতি নিয়ে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করেন নয় জেলে। পরে তারা বিষ ঢেলে মাছ শিকার করার সময় আটক করা হয়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে