সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো পাইকগাছার জাফর মোড়লকে চায়ের দোকান দিয়ে স্বাবলম্বী করে মানবতার দষ্টান্ত রাখলেন উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। এর আগে লস্ককর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন কৃতিম পা দান করে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেন জাফরকে। সে পাইকগাছা উপজেলার বিরাশী গ্রামের আনসার মোড়লের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে ইটের ভাটায় যাওয়ার সময় যশোরের লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তার ডান পা সম্পূর্ণ কেটে ফেলে। পঙ্গু অবস্থায় ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। একই সালের আগস্ট মাসে জাফর লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে. এম. আরিফুজ্জামান তুহিনের কাছে ভিক্ষা চাইতে গেলে তিনি তার কাছে বিস্তারিত জানত চান। এ সময় সে বলে সংসার চালাতে ভিক্ষাবৃতি ছাড়া তার বিকল্প কোন পথ নেই।
সব কিছু জানার পর চেয়ারম্যান কে. এম. আরিফুজ্জামান তুহিন তার একটি কৃত্রিম পা সংযাজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু দিনের মধ্য জাফরকে সাতক্ষীরার নলতা হাসপাতাল থেকে অর্ধলাখ টাকা ব্যয় করে প্লাস্টিকের একটি কৃতিম পা তৈরী করে লাগিয় দেয়। অপর দিকে জীবিকা নির্বাহের জন্য পাইগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করলে তিনি তার কথা শুনে তাকে স্বাবলম্বীর জন্য আগড়ঘাটা বাজারে একটি চায়ের দোকান করে দিয়ে দষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
সোমবার দুপুরে আগড়ঘাটা বাজারে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা চা দাকানের আসবাব পত্র নিয়ে হাজির হন। পা হারানো জাফর চা দোকান ও দোকানের আসবাব, মালামাল পেয়ে ভীষন খুশি। এ সময় উপস্তি ছিলেন, উপজলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লিপিকা ঢালী, উপজেলা সহকরী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, খাদ্য নিয়্ত্রক শেখ মনিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ইউপি সদস্য এজহার আলী, আলাউদ্দীন গাজীসহ বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দ।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ