ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মানের ৭ মাসেও পুনর্বাসিত করা হয়নি

ঝালকাঠি জেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩টি উপজেলায় ১৫টি ব্যারাক নির্মান করা হয়েছে। এই ব্যারাকগুলির মধ্যে ১৪টি ব্যারাকে ১১৭৬ টি ভূমিহীন পরিবারকে মাথা গোজার ঠাই করে দেওয়া হয়েছে। জেলার সরকারী খাস জমিতে ১৯৯৬ সাল থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৫টি ব্যারাক নির্মান করা হয়েছে।

১৪টি আশ্রায়ন প্রকল্পে ১১৭৬টি পরিবার আশ্রয় পেলেও ঝালকাঠি সদর উপজেলার অতি সম্প্রতি নির্মান করা বসন্ডা ইউনিয়নে কুনিহারী আশ্রায়ন প্রকল্প ৭ মাস ধরেও সুবিধাভোগীদের নির্যাতন করে বসবাসের জন্য দেয়া হয়নি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে দাবি করেছে। কুনিহারী আশ্রায়ন প্রকল্পে ৯টি ব্যারাক নির্মান করা হয়েছে এবং প্রতিটি ব্যারাকে ৫টি করে ৪৫টি পরিবারের জন্য ব্যারাক নির্মান করা হয়েছে।

সুবিধাভোগী নির্বাচনে যত দেরি হচ্ছে ততই নির্মানাধীন প্রকল্পটিতে গরু ছাগল অপরিচ্ছন্ন করে ফেলছে এমনকি নলকুপের মাথা চুরি করে নেয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করা আশ্রায়ন প্রকল্পের প্রথমদিকে নির্মান করা ব্যারাকগুলি সংস্কারের অভাবে মানুষের বসবাসের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। এই ব্যারাকগুলিতে টিন নষ্ট হয়ে পানি ঝড়ছে, শৌচাগারসহ অবকাঠামো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে।

ঝালকাঠির বাসিন্দা ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে বাসন্ডা ইউনিয়নের কুনিহারী গ্রমের ৩ একর জায়গা ক্রয় করে আশ্রায়ন প্রকল্পের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুকুলে জমি দান করেন। এই জায়গার ১.৮১০ একরে কুনিহারী আশ্রায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। এখানে ১৪০ মে. টন গম বরাদ্ধ করে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরিশালের শেখ হাসিন ক্যান্টনমেন্টের ৭ পদাতিক ডিভিসনের ২২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ন ৮৪ লাখ ১০ হাজার ৮শ ৬০ টাকা ব্যয়ে ৯টি আধাপাকা ব্যারাক নির্মান করেন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কাজ সম্পন্ন করে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী ঝালকাঠি উপজেলা পরিষদের কাছে ব্যারাকগুলি হস্তান্তর করা হয়। এই আশ্রায়ন প্রকল্পে ৪৫টি পরিবারকে সুবিধাভোগী। কিন্তু ব্যারাক হস্তান্তরের ৭ মাসেও সেখানে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা ও তাদের বসবাসের জন্য তুলে দেওয়া হয়নি।

ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মাধ্যে ৩টি উপজেলার আশ্রায়ন প্রকল্প নির্মান করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৯টি আবাসন প্রকল্পে ১১১টি ব্যারাকে ৯৯০টি ভুমিহীন পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। নলছিটি উপজেলায় ৩টি প্রকল্পের ১৩টি ব্যারাকে ১২০টি পরিবার এবং রাজাপুর উপজেলায় ২টি প্রকল্পে ১০টি ব্যরাকে ৬৬টি পরিবারকে বন্দোবাস্ত দেওয়া হয়েছে। বাসন্ডা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন মল্লিক। ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজি আক্তার এ বিষয়ে কথা বলেছে।

আনন্দবাজার/শাহী/বাঁধন

সংবাদটি শেয়ার করুন