ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে দুই হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর, হোতাপাড়া এলাকায় তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন কারণে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। অভিযানকালে পাঁচটি মামলায় সাত লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুর তিতাস কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর ও হোতাপাড়া এলাকায় তিতাস গ্যাসের বিপুল পরিমান অবৈধ গ্যাসের চুলা চালানো হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় প্রশাসন। অভিযানে এক হাজার দুইশত পরিবারের দুই হাজার চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিনশত মিটার পাইপ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় গ্যাস আইন ২০১০ এর ১২(১) ধারায় পাচঁটি মামলায় মুক্তা বেগমকে দুই লাখ টাকা, শাহ আলমকে পঞ্চাশ হাজার টাকা, সুবিনা বেগমকে এক লাখ টাকা, আনোয়ারা বেগমকে এক লাখ টাকা এবং আজাদকে পঞ্চাশ হাজার টাকাসহ মোট পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অপর একটি মামলায় সিরাজুল ইসলামকে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

তিতাস গ্যাস গাজীপুর জোনাল বিপণন অফিস-জয়দেবপুর এর উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায় কতিপয় অসাধু লোকজনের সহযোগিতায় এলাকাবাসী অবৈধভাবে বাসা বাড়ীতে গ্যাস ব্যবহার করছিল। এর আগেও কয়েকবার উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্ত স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী লোকজন আবারো এলাকাবাসীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে গ্যাস সংযোগ প্রদান করে। খবর পেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন এর সহযোহিতায় বৃহস্পতিবার উক্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় তিতাস গ্যাস, গাজীপুর জেলা পুলিশ এবং ব্যাটেলিয়ন আনসার সহযোগিতা করেন।

এছাড়াও একইদিন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা বাজার ও মাওনা বাজারে পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজি, মসলা, কাঁচা তরিতরকারির বাজার মূল্য মনিটরিং করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুল আরেফিন।

অভিযানকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সংরক্ষণ না করায় এবং পেঁয়াজের মূল্য বেশি রাখায় ৮ জন ব্যবসায়ীকে মোট দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

আনন্দবাজার/শাহী/মিলন

সংবাদটি শেয়ার করুন