ঢাকা | শনিবার
১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চতুর্থ দফায় বন্যা কুড়িগ্রামে

সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চতুর্থ দফার এ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রোপা আমনসহ অনেক ফসলের। এলাকার কৃষকরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ফসলগুলো আর বোনা সম্ভব নয়। বুনলেও এগুলো আর হবে না।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ধরলার পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলা সদরের সারোডোবে  ২৫ মিটার ভাঙা বাঁধের অংশ দিয়ে ইতোমধ্যে ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়া জেলা সদরের যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, পাঁচগাছি, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর, নয়াহাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে শতাধিক গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কদিন আগের দীর্ঘ বন্যার পর ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আবারও নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষজন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সাথে আরও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, গেলত তিন দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি  এবং প্রবল স্রোতে শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙনের শিকার হয়েছে। এতে তার ইউনিয়ন অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় শত শত একর জমির রোপা আমন ধান, মাষকলাইয়ের জমি এখন পানির নিচে। পানি নেমে গেলেও এ ফসলগুলো আর হবে না। ইতোমধ্যে তার এলাকায় কৃষকদের আহাজারি শুরু হয়ে গেছে।

এই ব্যাপারে জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নির্ধারণ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, মাষকলাই, শাকসবজি এবং বাদামের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন