জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী নীলদলের একাংশে আবারো ভাঙন ধরেছে। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শামছুল কবির জবি নীলদল (জাকারিয়া-মোস্তফা) একাংশের কার্যনির্বাহী পর্ষদ ২০১৯-২০২০ এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার মাধ্যমে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ড. শামছুল কবির তার পদত্যাগের বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। জবির নীলদলে প্রথম ভাঙন ধরে ২০১৭ সালে শিক্ষকদের বড় একটি অংশ বের হয়ে গেলে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শামছুল কবির নীলদলের (একাংশ) বিরুদ্ধে অঞ্চলপ্রীতি ও জামায়াত-বিএনপির সংশ্লিষ্টতা এনে গত ৫ মার্চ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বরাবর কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটি ও অনুষদের সভায় বিষয়টি গৃহিত হয়। পদত্যাগের পরে তার মিত্র শিক্ষকদের নিয়ে আরেকটি গ্রুপ গঠনের ইঙ্গিতও দেন তিনি
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. শামছুল কবির বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৭ সালে আমরা একাংশ নিয়ে জবিতে নীলদল গঠন করি তা সম্পূর্ণরূপে ব্যতয় হয়েছে। বর্তমানে এই নীলদল আওয়ামীলীগের আদর্শ কতটুকু ধারণ করছে তা সন্দিহান এবং কিছু ব্যক্তি নিজের স্বার্থ ও কর্তৃত্ব হাসিল করার জন্য নীলদল করছে কিন্তু তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল না।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই নীলদলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্যপূর্ণ্য সম্পর্ক, বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের অভাব প্রতীয়মান। এই গ্রুপ বর্তমানে ব্যক্তিকেন্দ্রীক, একচেটিয়া কর্তৃত্ব, সুবিধাভোগী ও অঞ্চল প্রীতির কেন্দ্রে পরিণত হওয়ায় একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী হিসেবে মেনে নিতে পারি না। ফলে এইরূপ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি পদত্যাগ করেছি।
পদত্যাগের বিষয়ে নীলদলের (একাংশ) সভাপতি ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, ড. শামছুল কবির আমাদের একজন ভালো সহকর্মী ছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার পদত্যাগে ব্যথিত। তিনি নিজের যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিন্তু তিনি আমাদের সম্পর্কে যেসব অভিযোগ করে গেছেন এর কোন সত্যতা নেই। এর মাধ্যমে তিনি আমাদের সম্মানহানী করেছেন।
আনন্দবাজার/শাহী/সাইদ