ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে বিপর্যস্ত সব মানুষ

সম্প্রতি তিস্তা নদীর ভাঙনে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা গ্রামের ইতোমধ্যে ২০টি পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে নদীভাঙনে ওই গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে মহিষখোচা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাহা গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিস্তার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো ঘরবাড়ি অন্যস্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। তারা রাস্তার পাশে এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

ভাঙনের শিকার রফিকুল, মোফা, মকসুদার, সাহাবুদ্দিন জানান, তিস্তায় হামাকগুলাক (আমাদের) আর বাইচবার দিল না, হামরা এ্যালা কোনটে যামো! এ্যাদোন করি কি আর জীবন চলে? ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর এমন আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তিস্তার পানি কিছুটা কমার সাথে সাথে প্রবল স্রোতে মুহূর্তেই বসতভিটা নদীতে বিলীন হচ্ছে। অনেকে কোনোরকমে বসতভিটা সরিয়ে নিতে পারলেও গাছপালা কেটে নেওয়ার সময় পাচ্ছেন না।

এই ব্যাপারে মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী (৫৫) জানান, আমার জীবনে এ রকম নদীভাঙন কখনও চোখে পড়েনি। ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে জিও ব্যাগ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙনকবলিত এলাকায় বালু মজুদ করে রাখা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকায় বালু মজুদ করা হয়েছে। জিও ব্যাগ বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন