ঢাকা | সোমবার
১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার প্রভাব পড়েছে প্রতিমা শিল্পে

আসন্ন শারদীয়া দূর্গা পুজার আগেই করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে প্রতিমা শিল্পে, প্রতিমা তৈরির কারিগরদের চোখে মুখে সেই ছাপ ফুটে উঠেছে। ঢিলে ঢালা ভাবে সময় পাড় করছেন নীলফামারীতে প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরা, পূজা উদযাপন পরিষদের করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ২৬ দফা থাকায় পূজা মন্ডবগুলোতে এবার সাদাসিদা ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় বেশি দাম দিয়ে বড় বড় প্রতিমা তৈরী করছে না কোন মন্ডব।

প্রতিমা তৈরীর কারিগরেরা সংকিত হয়ে পড়েছে। নীলফামারী শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী মাতা মন্দিরের দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কারিগর তাপস পাল অজয় বলেন, এই সময় আমাদের কোন ফুরসত থাকে না, এবার মহামারী করোনা কারণে বড় বড় প্রতিমা তৈরী করছে না মন্ডবগুলো। এ কারণে আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, গত বছর এই কালি মাতা মন্দিরে ৬৫ হাজার টাকার প্রতিমা তৈরী করেছি। এবার ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে করতে হচ্ছে, এ পর্যন্ত ৮টা প্রতিমা তৈরীর অর্ডার পেয়েছি এর মধ্যে একটি ৬০ হাজার আর বাকি গুলো অল্প দামের।

রুহীদাস পাল (নিন্দালু) বাবা রাজেশ্বর পাল বংশ পরস্পরা প্রতিমা তৈরীর কাজ করে আসছে। প্রতিমা তৈরী ছাড়া আর অন্য কোন কাজ জানেনা সে, প্রতিমা তৈরী করেই পেট চালাতে হয় তার। তিনি বলেন, করোনার কারণে প্রতিমার অডারের সংখ্যা কম আসছে। এ পর্যন্ত ৬টা অডার পেয়েছি তাও আবার অল্প দামে ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে। এই সময়টাই হচ্ছে আমাদের ব্যবসার সময়। কিন্তু এখন কোনো ব্যবসা নেই।

করোনার কারণে ব্যবসা এ রকম থাকলে হয়ত এবার পড়নের কাপড়টাও কিনতে পাবো না। খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের হেমন্ত পাল বলেন, “আমাদের গ্রামে খালি কোনো মতে প্রতিমা তৈরী করতি চায়ছে, আগেত কত ভালো করি প্রতিমা বানে দিবার কছিল। এলা খালি কয়ছে একখান প্রতিমা বানে দাও কোনো মতে পূজা খান করি ৮-১০ হাজার টাকার ভিতর।”

বাংলাদেশ পূর্জা উদযাপন পরিষদ, নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ রমেন্দ্র নাথ বর্দ্ধন (বাপ্পি) বলেন, করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্রের ২৬ দফা নির্দেশনা মেনে পূজা পরিচালনা করতে বলা হয়েছে মন্ডবগুলোকে। পূজা মন্ডবের সংখ্যা আগের মতোই থাকবে। কিছু পূজা মন্ডবগুলোতে কমিটি নিয়ে বিরোধ থাকলেও আমাদের উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটির সহায়তায় স্থানীয় সুধীজনদের নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে এবং কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে পূজা পরিচালনা করার জন্য বিশেষ ভাবে মন্ডবগুলোকে বলা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/শাহী/সুভাস

সংবাদটি শেয়ার করুন